গাইবান্ধায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন : হত্যার চষ্টা স্বামীসহ ৪ জনের নামে থানায় এজাহার
তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকেঃ
পরকিয়া করে বিয়ে, ছয় মাস পরে যৌতুকের দাবীতে অমানবিক
নির্যাতন, চুল কেটে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ লম্পট স্বামীর
বিরুদ্ধে, ভুক্তভোগী মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, থানায় এজাহার দায়ের।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বারবলদিয়া
গ্রামে। জানাগেছে,
গাইবান্ধা
সদরের পূর্ব বারবলদিয়ায় ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিট করে চুল
কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মো. শামসুল হকের বিরুদ্ধে । গত রবিবার
রাতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
মারপিটের কারনে ভুক্তভোগী আয়শা বেগম সঙ্গহীন হয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন এসে
তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
যৌতুক
না দিলে তাকে আর ঘরে তোলা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিরুপায়
হয়ে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলায় স্বামীসহ আরও তিন’জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর আসামিরা হল স্বামী
শামসুলের আর এক স্ত্রী মোছাঃ নুরুন্নাহার বেগম, বড় মর্তুজ আলী ও খালেক মিয়া
।
এজাহারে সূত্রে জানাগেছে, দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে
শামসুল হক বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে পূর্বের স্বামী রেজ্জাক আলীর মনে
অবিশ্বাস সৃষ্টি করে মোছাঃ আয়শা বেগমের সংসারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে
এবং বাদীর মাধ্যমে পূর্বের স্বামীকে তালাক করায়। এরপর ৫০ হাজার টাকা দেন
মোহরে গাইবান্ধা সদরের পূর্ব বারবলদিয়ার মৃত আশরাফ আলীর মেয়ে মোছাঃ আয়শা
বেগমের সঙ্গে ছয় মাস আগে একই গ্রামের মৃত ময়েন আলীর ছেলে শামসুল হকের বিয়ে
হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন।
একপর্যায়ে
গত রবিবার (৫ নভেম্বর) রাতে আয়শাকে তার ভাইদের বাড়ী থেকে ১ লাখ টাকা
যৌতুক আনতে বলে। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় আয়শাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করা
হয়। পরে মারধর করে তার মাথার চুল কেটে বিকৃত করে লবাড়ি থেকে বের করে দেয়া
হয়। এখন অসহায় মোছাঃ আয়শা বেগম যৌতুক লোভী স্বামীর বিচার চায়।
এ
ব্যাপারে মোছাঃ আয়শা বেগম বলেন, এই লম্পট আমার সব কিছু শেষ করে দিয়েছে,
এখন সে আমার কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক চায়, না দিলে আমাকে ঘরে তুলবে না।
সেজন্য আমাকে শামসুল ও তার ভাই ও প্রথম স্ত্রী হত্যা করার উদ্দেশ্য মারপিট
করে, চুল কেটে দেয়, গলা চিপে ধরে। আমি এই নারী লোভীর শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত
মোঃ শামসুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্যি নয়। আমি
যার সাথে কথা বার্তা বলতে মানা করি, তিনি সেখানেই যায়।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ডিউটি অফিসার মোঃ সামিউল ইসলাম বলেন, আমরা এজাহার পেয়েছি,